পীরগাছা হাজী ছফের উদ্দিন দ্বি-মূখী আলিম মাদ্রাসা পীরগাছা উপজেলায় শিক্ষার আলো বিস্তারে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় মুসলিম সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার ফসল।
প্রতিষ্ঠার পটভূমি:
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, যখন আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করা হচ্ছিল, তখন পীরগাছা এলাকায় একটি যুগোপযোগী মাদ্রাসার প্রয়োজনীয...
পীরগাছা হাজী ছফের উদ্দিন দ্বি-মূখী আলিম মাদ্রাসা পীরগাছা উপজেলায় শিক্ষার আলো বিস্তারে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় মুসলিম সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার ফসল।
প্রতিষ্ঠার পটভূমি:
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, যখন আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করা হচ্ছিল, তখন পীরগাছা এলাকায় একটি যুগোপযোগী মাদ্রাসার প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এলাকার ধর্মপ্রাণ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে হাজী ছফের উদ্দিন সাহেব এই
মহৎ
উদ্যোগের
নেতৃত্ব
দেন।
তার
দূরদর্শিতা,
ঐকান্তিক
প্রচেষ্টা
এবং
নিঃস্বার্থ
আত্মত্যাগ
এই
মাদ্রাসার
ভিত্তি
স্থাপন
করে।
স্থানীয়
জনগণও
মাদ্রাসার
প্রতিষ্ঠায়
সর্বাত্মক
সহযোগিতা
প্রদান
করেন,
যা
এর
সফল
যাত্রার
মূল
চালিকাশক্তি
ছিল।
নামকরণ:
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাজী ছফের উদ্দিন এর নামানুসারেই এই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় "হাজী ছফের উদ্দিন দ্বি-মূখী আলিম মাদ্রাসা"। এটি তার অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মকে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত করার একটি প্রচেষ্টা।
প্রাথমিক পর্যায় ও অগ্রগতি:
১৯৬৫ সালে সীমিত পরিসরে এর কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে দাখিল (সেকেন্ডারি) স্তরের শিক্ষা প্রদান করা হলেও, সময়ের সাথে সাথে এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এটি আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) স্তরে উন্নীত হয়। "দ্বি-মূখী" শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় যে, এখানে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার বিভিন্ন শাখা (যেমন বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা) বিদ্যমান, যা শিক্ষার্থীদের বহুমুখী জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দেয়।
শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠক্রম:
এই মাদ্রাসায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাঠক্রম অনুসরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের ইসলামী জ্ঞান (কুরআন, হাদীস, ফিকাহ, আরবী ভাষা) প্রদানের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তির মতো আধুনিক বিষয়গুলিতেও জোর দেওয়া হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দীনি ও দুনিয়াবী উভয় জ্ঞান অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা:
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটি বহুবার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে সুবিশাল শ্রেণীকক্ষ, একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্থানীয় প্রশাসন নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
কৃতিত্ব ও অবদান:
গত কয়েক দশক ধরে পীরগাছা হাজী ছফের উদ্দিন দ্বি-মূখী আলিম মাদ্রাসা অসংখ্য আলোকিত মানুষ তৈরি করেছে। এই মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র গঠনেও এই প্রতিষ্ঠানটি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে।
ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা:
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রী মাদ্রাসায় উন্নীত করার এবং আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তির সাথে আরও বেশি সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদেরকে
একবিংশ
শতাব্দীর
চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলায়
সম্পূর্ণরূপে
প্রস্তুত
করা।
পীরগাছা হাজী ছফের উদ্দিন দ্বি-মূখী আলিম মাদ্রাসা কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নয়,
এটি
পীরগাছা
উপজেলার
ইতিহাস
ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ ধারা মাদরাসা শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে এটি বহু বছর ধরে চলে আসছে এবং এ দেশের জনমানসে তার স্থান করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ ধারা মাদরাসা শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে এটি বহু বছর ধরে চলে আসছে এবং এ দেশের জনমানসে তার স্থান করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ ধারা মাদরাসা শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে এটি বহু বছর ধরে চলে আসছে এবং এ দেশের জনমানসে তার স্থান করে নিয়েছে।
সভাপতির বাণী
আমাদের প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে, একটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ আমাদের প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে, একটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ হিসেবে। ধীরে ধীরে এটি শিক্ষা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিজেদের সুনাম অর্জন করে। শিক্ষা, নৈতিকতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আদর্শ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করে চলেছি।প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ এবং শহুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে